Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২৪শে জুলাই, ২০২৫ । ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

৩ ঘন্টা পর ডুমুরিয়া ইউপি কার্যালয়ের তালা খুলেছে প্রশাসন!

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

বুধবার সকাল থেকে ৩ ঘন্টা তালাবদ্ধ ছিলো খুলনার ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ। অনিয়ম, দুর্নীতি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জনসাধারণকে হেনন্ত করার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত লোকজন বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলা প্রশাসন তালা খুলে দেয়। এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুর পদত্যাগের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেন।

জানা যায়, ১১নম্বার ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু। তিনি ২০১৬ সালে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদেন। পরপর দুই মেয়াদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জনসাধারণকে হয়রানীর অভিযোগ ওঠে। তারই জেরে বিএনপি সমর্থিত লোকজন বেলা পৌনে ১২টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হরিদাস কুন্ডু জানান, বিএনপি সমর্থিত লোকজন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান সাহেব আছে কিনা জানতে চায়। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন মূলককাজ চেয়ারম্যান যেনো সবাইয়ের তার তাগিদ দেন। এরপর আমাদেরকে বলে অফিস কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে। আমরা তালা বদ্ধ করে ইউএনও অফিসে যাই। পরে দেখি আমাদের তালার পাশে ডাবল তালা মেরে দিয়েছে। তবে তারা আমাদের সাথে কোন ধরণের খারাপ আচারণ করেনি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ করেছে আশা করি তদন্ত হলে সব মিথ্যা প্রমাণিত হবে। সম্প্রতি আরাজি ডুমুরিয়ায় একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে পারভেজ গাজীর সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। অনৈতিকভাবে রাস্তার কিছু ইট নিয়েছেন তিনি। একই সাথে আরো কিছু ইটের দাবী করেন। যেটা না দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, পরিষদের তালা খুলে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজী হুমায়ন কবির বুলু ২০১৫ সালে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি তৎকালীন বিএনপির মতবিরোধের কারণে দল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সাবেকমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দসহ আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিরোধের জেরে ২০২২ সালে তার পরিচালনাধীন হাসেম আলী মৎস্য ও পাইকারী কাঁচাবাজারের দ্বিতলা ভবন ভেঙ্গে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন